ইকবাল খান: [২] প্রায় ১ হাজার মার্কিন কোম্পানির সংগঠন আমেরিকান পোশাক ও পাদুকা সমিতি (এএএফএ) এই চিঠিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছে। 

[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র কাছে পাঠানো পত্রে মার্কিন সংগঠন এএএফএ বলেছে যে, এ হত্যাকাণ্ড কেবল শহীদুল ইসলামের পরিবারের জন্যে অপূরণীয় ক্ষতিই নয়; এটা একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার ও তাদের সামগ্রিক কল্যাণের অবনতির ঈঙ্গিতই দেয়। শ্রমিক ইউনিয়ন ও নেতাদের উপর  প্রায়শই হামলার ঘৃণ্য উদাহরণ হচ্ছে শহীদুল হত্যাকাণ্ড।

[৪] মার্কিন সরকারের সঙ্গে সঙ্গে এএএফএ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানাচ্ছে। তারা বলছে, এ বিচারের মাধ্যমে এমন একটি বার্তা দিতে হবে যে ওই ধরনের ঘৃণ্য অপকাণ্ড সহ্য করা হবে না।

[৫] গত ২৫ জুন গাজীপুরের বাগানবাড়ি এলাকায় শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলামের ওপর হামলা করে হত্যা করা হয়। তার সহকর্মিরা অভিযোগ করেছেন, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনার ‘অপরাধে’ অপরাধিরা তাকে হত্যা করেছে। শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ পোশাক ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর শাখার সভাপতি ছিলেন। মার্কিন সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে, বাংলাদেশে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ওপর হামলা হয়ে থাকে। এই ইউনিয়নের নিবন্ধন করার ব্যাপারেও বিলম্ব করা হয়।

[৬] মার্কিন সংস্থা এএএফএ বলছে, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইউনিয়ন গঠনের অধিকার একান্ত প্রয়োজন। তারা মনে করে যে শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক রক্ষা ও শ্রমিক সহায়ক পরিবেশ  তৈরির জন্যে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

[৭] পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের চলমান প্রক্রিয়া তারা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি অবশ্যই ন্যায্য মজুরির ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে।

[৮] এএএফএ মজুরি বৃদ্ধির আলোচনায় আসল শ্রমিক নেতাদের অংশ নেয়ার তাগিদ দিয়েছে। সংস্থাটি মনে করে যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অবশ্যই আমলে নিতে হবে।

[৯] তৈরি পোশাক শিল্পের অধিকার রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আমেরিকান পোশাক ও পাদুকা সমিতি(এএএফএ) আহবান জানিয়েছে।